মঙ্গলবার, নভেম্বর ১১, ২০২৫
EIIN নম্বরঃ 107544 ০২৩৩৪৪৯২১৭০
Updates

বিদ্যালয়ের রাস্তা অবৈধভাবে দখল।

নভেম্বর ০৪, ২০২৫ Uncategorized

পৌরসভার আইন অমান্য করে বিদ্যালয়ের রাস্তা অবৈধভাবে দখলের প্রতিবাদ করছে শিক্ষার্থীরা। গত ৩০ অক্টোবর ২০২৫ ফেসবুকে এমন একটি ভিডিও দেখে দৈনিক আমাদের খবর পত্রিকা থেকে তথ্য নিতে বিদ্যালয়ে যোগাযোগ করা হয়। ২ নভেম্বর রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা কথা হয় প্রধান শিক্ষক জনাব রোকেয়া সুলতানার সাথে। তিনি সমস্যাটি বিস্তারিত জানান। নোয়াখালীর মাইজদী বালিকা বিদ্যানিকেতন বিদ্যালয় ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন নোয়াখালী সদরে একটি মাত্র বালিকা বিদ্যালয় ছিল। বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব সফিকুর রহমান স্থানীয়ভাবে সবার সহযোগিতা নিয়ে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। তখন জনাব হাবিবুর রহমান উকিল বিদ্যালয়ের জন্য রাস্তার জায়গা দান করেন যা বিদ্যালয়ের খরচেই তখন তৈরি করা হয়। পাশে পুকুর ছিল তাই তিনি দলিল করার চিন্তা করেননি। বর্তমানে সেই পুকুর ভরাট করে বহুতল ভবন তৈরি করে উনার আত্মীয়রা রাস্তাটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করতে দখল করতে চাচ্ছেন। এটি একটি ৮ ফুটের সরু রাস্তা ছাত্রীরা চলাচল এবং পাশের বসত বাড়ির মানুষ ব্যবহার করছে।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, অবৈধভাবে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর খুলে নিয়ে যাচ্ছে। অল্পের জন্য কিছু শিক্ষার্থী দূর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। পৌরসভার আইন অমান্য করে কিছু অসাধু লোক অবৈধ ভাবে বিদ্যালয়ের রাস্তা, বাড়ির রাস্তা বানাতে রাতের অন্ধকারে সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলে। পৌরসভার রায়ের পর বিদ্যালয় আবার বেড়া দেয়। কিন্তু আজ প্রকাশ্য দিবালোকে কিছু বহিরাগত নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় তা ভেঙে নিয়ে যায়। তাই নিয়ে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করে।

স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা জনাব সফিকুর রহমানের মেয়ে সাহিদা পারভিন এ বিষয়ে তীব্র সমালোচনা ও প্রতিবাদ করেন।
মাত্র ৮ ফুটের রাস্তাটি দিয়ে মাইজদী বালিকা বিদ্যানিকেতনের ১ম শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ২০০০ শিক্ষার্থী এবং পার্শ্ববর্তী কয়েকটি বাড়ির মানুষও চলাচলে করে। যখন স্কুল ছুটি হয় তখন শিক্ষার্থীদেরও রাস্তায় চলাচলের খুবই সমস্যা হয়। বর্তমানে জায়গার মালিকপক্ষ যেভাবে রাস্তা ব্যবহার করার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অবিবেচক আচরণ। এখানে ৩ টি ১০ তলা ভবনের ২০ টি করে ৬০টি বাসা হবে। সবাই বিত্তশালী আধুনিক ফ্ল্যাটের মালিক, তাদের গাড়ি থাকাটাই স্বাভাবিক। নিয়মানুযায়ী তাদের ২০ ফুটের রাস্তা প্রয়োজন সুতরাং এই রাস্তায় তা একেবারেই সম্ভব নয় এবং ভবিষ্যতে ও পাশের বাড়িগুলোর জন্য পৌরসভা বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত বলে এলাকার জনগন মনে করছে। একটা জাতি এগিয়ে যাবে শিক্ষার উপর ভর করে। স্কুলটি অন্ধকার যুগে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আলো ছড়িয়েছে এখন কি পিছিয়ে যাওয়ার সময়?

প্রশাসন দ্রুত বিদ্যমান এ সমস্যার যথাযথ সমাধানের দাবি জানাচ্ছেন শিক্ষার্থী ও স্কুল কর্তৃপক্ষ।

oplus_0

oplus_0

হোয়াটসাঅ্যাপ চ্যাট
মেসেঞ্জার চ্যাট